শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে আগামী রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) উদ্বোধন হচ্ছে মানবদেহে করোনার টিকা দান কর্মসূচি। প্রথম দিন টিকাদান কর্মীদের ভ্যাকসিন দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবণ থেকে এক যোগে এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত করেছে।
কক্সবাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম), সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অনুপম বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডা. রফিক উস সালেহীন। জাতীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার জেলা কমিটি উদ্বোধনের এ দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে।
উল্লেখ্য গত ৩১ জানুয়ারী ৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কক্সবাজারে আনা হয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব ভ্যাকসিন আনা হয়। করোনার ভাইরাসের এই ভ্যাকসিন কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে নির্ধারিত তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। কক্সবাজারে আনা করোনার ভ্যাকসিন গুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড আ্যাষ্ট্রাজেনের “কোভিশিল্ড” টিকা। এসব করোনা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন রাখা হয়েছে।
৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকাতে ৮ হাজার ৪০০ ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে এক হাজার ২০০ ভায়াল টিকা আছে। প্রতিটি ভায়ালে টিকা রয়েছে ১০ ডোজ। সে হিসাবে কক্সবাজারের ৪২ হাজার নাগরিককে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া যাবে। একজন নাগরিককে ২ ডোজ করে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দিতে হবে। এক ডোজ টিকা দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে।
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ক্যাটাগরির নাগরিকগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া হবে। তারা হলো : সকল সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্য বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনী সহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল সদস্য, বিজিবি, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, গণমাধ্যম কর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তা, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়োজিত, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্তে অপরিহার্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবাদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনার সম্মুখযোদ্ধা সহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত স্টাফ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি জেলার ৪ টি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ প্রতি উপজেলা থেকে ৫ জনকে মানবদেহে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকীদের আজ ও কাল, ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এরপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তর জেলার টেকনেশিয়ান, নার্স, উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার পরিকল্পনা ভিজিটরসহ সংশ্লিদের প্রশিক্ষণ দেবেন। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাদের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানাদিক বিশ্লেষণসহ হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজকে কক্সবাজার জেলার করোনা ভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply